Friday, March 13, 2015

জামাত-বিএনপি জোট নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন - প্রতিক্রিয়া by সাঈদ হাসান খান


প্রথমেই সাংবাদিক সম্মেলনের আপনার বক্তব্য আমরা সবিনয়ে প্রথ্যাখান করছি। এখনো সময় আছে আপনি মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডা বন্ধ করুন। তা না হলে এদেশের মুক্তিযুদ্ধে পক্ষের সব শক্তি আপনার বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা আর স্বাধীনতা বিরোধীদের ত্যাগ করে এদেশের মাটি আর মানুষ নিয়ে, তাদের জন্য রাজনীতি করুন, তাহলেই জনগণ আপনার সাথে থকবে। নইলে আপনার বা আপনার দলের অবস্থা হবে ভয়াবহ। মনে রাখবেন আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন এদেশে জঙ্গিবাদ, পাকিস্থান পন্থী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের আর কোনটিতেনই ক্ষমতায় যেতে পারবেনা। তাদের বিচার হবেই এই বাংলার মাটিতে। যতই বাধা আসুক। গণতন্ত্র আর নির্বাচনের বাহানা দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার বন্ধ করা যাবে না।
মাননীয় জামাত-বিএনপি জোট নেত্রী,
১৯৭১ সালের আমাদের মহান মুক্তিযোদ্ধের প্রবাসী সরকারের অধীনে কর্মরত সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দয়া করে মানুষের ভোটের অধিকার (ভুতের মুখে রাম রাম) আর গণতন্ত্র উদ্ধারের (জন্ম আমার আজন্ম পাপ) দোহাই দিয়ে, পেট্রল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করবেন না । আল্লাহ না করে আপনার দলের ছোরা একটা পেট্রল বোমা যদি আপনার গাঁয়ে উপর গিয়ে পরে তাহলে আপনি মানুষকে পুড়ে মারার কষ্ট অনুভব করতে পারবেন। আপনি এ দেশকে তালেবানি ব্যর্থ পাকি রাষ্ট্র বানানোর যে কু পাঁয়তারা করছেন (যাতে আপনার সুমহান ছেলে দেশে এসে তালেবানি দেশের হাল ধরতে পারে) তা বন্ধ করুন। আজ চারিদিকে লর্ড ক্লাইভ-মীরজাফর-জগৎ শেঠদের নব্য সংস্করণ “আমাদের সুশীল সমাজ” আত্মঘাতি নিরপেক্ষতার ভান করে আপনাদের ইন্ধনে এবং ক্ষমতার লোভে জনগণের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত । আপনারা এবং তাঁরা (তথাকথিত সুশীল সমাজ) আসলে ধর্ম ব্যবসায়ি/জামাতকেই ক্ষমতায় বসাতে চান। তিরিশ লক্ষ মানুষ বুকের রক্ত দিয়ে স্বাধীন করে গেছে এই দেশ। আর ৪ লক্ষ ধর্ষিতা বোনের স্বাক্ষী এ দেশের স্বাধীনতায়। দয়া করে তাঁদের রক্তের সাথে বেইমানী করবেন না।
বর্তমানে আন্দোলনের নামে যা আপনারা করছেন তা কোন ভাবেই রাজনৈতিক আন্দোলন বলা যায় না। এটা আসলে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের মধ্যে বাঁচা মরার লড়াই বা অস্তিত্ব রক্ষার যুদ্ধ। স্বাভাবিক ভাবেই হাসিনা বা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আপনাদের টার্গেট হবে তা বলাই বাহুল্য। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় এই যুদ্ধে বা লড়াইতে আমাদের নিরপেক্ষ থাকার কোনো অবকাশ নেই। যারা নিরপেক্ষতার ভান করে সংলাপের বাণী কপচাচ্ছে, তাদের অধিকাংশই ভণ্ড, জ্ঞানপাপী বা সুযোগ সন্ধানী। মনে রাখবেন অতীত বা বর্তমান কোন কালেই জঙ্গিদের/সন্ত্রাসীদের সাথে আলোচনা করে কোন আপোষ রফা বা জঙ্গিদের মাথা নত করা যায় নি বা যাবেও না । তাই সংলাপ বা আলাপ আলোচনা বাদ দিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধেরে বিরোধিতাকারী জঙ্গিবাদ আর জঙ্গি গোষ্ঠীকে এবং তাদের মদদ দাতাদের নির্মূল করতে হবে সমূলে বা শিকড় থেকে। তা না হলে এদেশে শান্তি কোনদিনও আসবে না। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধেরে বাংলাদেশ হবে না। হবে ১৯৭৫ সালের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংসকারীদের। যা শুরু হয়েছিল ১৯৭৫ সালে আপনার স্বামী মহান মুক্তিযুদ্ধা জিয়ার নেতৃত্তে। সেই ভয়াল দিনগুলির কথা এদেশের মানুষ এখনও ভুলে যায়নি। যাবেও না।
পরিশেষে, বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি, যুদ্ধাপরাধী/জামাত আর উগ্র ধর্ম ব্যাবসায়িদের ত্যাগ করে, নির্বাচন ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য, সত্যিকারের গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করুন। জনগণ আপনার পাশে থাকবে।

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment