Tuesday, February 24, 2015

ব্র্যাক ব্যাংকের অনলাইন ব্যাঙ্কিং নিয়ে গ্রাহক হয়রানি চরম সীমায়



অনলাইন ব্যাঙ্কিং এর বিড়ম্বনা এড়াতে ব্র্যাক ব্যাংক আরেক চরম বাজে এক বিড়ম্বনার জন্ম দিয়েছে। বস্তুটির নাম হার্ডয়ার টোকেন ডিভাইস। ডিভাইস নামের কলঙ্ক। খৃষ্টপুর্বের আজগুবি এই কুৎসিত বস্তুটির বাৎসরিক ফি এগারশত টাকা। শুধু তাই না, ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিসের লোকেরা নিজেরাও জানেনা এটা দিয়ে কি করা যায় আর কি করা যায় না। এই কুৎসিত বস্তুটি্র ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে বলার কিছু নাই। কারন আমি মনে করি ইউজার এক্সপেরিয়ান্স শব্দটিকেই তাতে অপমান করা হবে। বস্তুটি আর্ট পেপারের মতো হাল্কা, বাটনগুলো কয়েকবার চাপ্তেই স্ক্রাচ পরে ডেবে যায়। বস্তুটির সাথে তার চেয়েও মোটা কয়েক পৃষ্ঠার একটি ম্যানুয়েল দেয়া আছে। যেটা ফলো করেও আপনি ব্যাক টু স্কয়ার ওয়ান এ চলে যাবেন। এই জিনিষ ডিএক্টিভেট করতে হলে তাকে আগে এক্টিভেট করতে হবে তারপর কল সেন্টারে ফোন করে আপনার মোবাইলের টাকা খরচ করে তাদেরকে সব ইনফরমেশন দিয়ে তবেই একে অচল করতে হবে। আর আপনার এগারশত টাকা যেটা গেছে, সেটা ভুলে যেতে হবে, তার সাথে এত্ত গুলা পেইন নিলেন সেটাও ভুলে যেতে হবে। কত সুন্দর সমাধান। তাই না? বাংলাদেশে চারিদিকে টেকনলজির ছড়াছড়ি যেখানে, সেখানে কেমন করে একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাংক এরকম একটি উদ্ভট জিনিষ বাজারে ছাড়ার সাহস করে, সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছি! তারা নিজেরাও, এটা চেক না করে কাস্টমারদের ঘারে চাপিয়ে দিচ্ছে। এর জবাবদিহিতা কি আছে কারো কাছে? ব্যাঙ্ক তার নিজের প্রয়োজনে কাস্টমারদের হ্যানস্থা করতে তো এক বিন্দু দ্বিধা করে না। কাস্টমাররা যখন হ্যানস্থ হচ্ছে তার কি হবে? এর বিচার কে করবে? বাংলাদেশ ব্যাংক এর কাছে কি এই ব্যাপারে কোন সহায়তা আশা করতে পারে সাধারন জনগন? আমি এই চরম হয়রানির জন্য তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রতিটি কাস্টমারদের আরো সোচ্চার হওয়া উচিৎ ব্যাংকের এইসমস্ত চরম অসুবিধা আর হয়ারানি থেকে বাচার জন্য। সবাই একত্রে এসবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো উচিৎ। আমাদের আরো বেশি অধিকার সচেতন হতে হবে যাতে এরকম অন্যায়ভাবে ব্যাংকগুলো আমাদের রক্ত পানি করা টাকা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।

Related Post:

  • 0Blogger Comment
  • Facebook Comment

Post a Comment